সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু

সিরিয়ার দেইর আয-জোর অঞ্চলের কনেকো ঘাঁটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)-এর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রথম সেনা বহরটি ইতিমধ্যেই দশ দিন আগে ঘাঁটি ছেড়ে গেছে।

বুধবার রাতে প্রায় ২০০-র বেশি সামরিক যানবাহন কনেকো ঘাঁটি ছেড়ে ইরবিলের দিকে রওনা দেয়। এই পদক্ষেপ সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদী সামরিক উপস্থিতির একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে এই সেনা প্রত্যাহার হবে। যদিও তেলআবিবের একটি শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা মনে করেন এটি সম্পূর্ণ নয় বরং আংশিক প্রত্যাহার হবে। মার্কিন সেনা উপস্থিতি বজায় রাখার জন্য এখনো চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

ইসরায়েলের আশঙ্কা, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ফলে তুরস্ক সিরিয়ায় তাদের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পেতে পারে। এতে করে আঙ্কারা ও তেলআবিবের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা বেড়ে যেতে পারে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সিরিয়ায় মার্কিন সেনা সংখ্যা এই প্রক্রিয়ার ফলে অর্ধেকে নেমে আসতে পারে। যদিও অপর এক কর্মকর্তা সেনা সংখ্যা নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলেননি এবং ইরানের সঙ্গে আলোচনার এই সময়ে ব্যাপক হ্রাসের সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।

সিরিয়ার দেইর আয-জোর অঞ্চলের কনেকো ঘাঁটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন সামরিক ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এখানে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, হেলিপ্যাড, প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ব্রাডলি যুদ্ধযান রয়েছে।

এর আগেই, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর থেকে সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। সেই সময় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “আমরা সিরিয়ায় নেই, ওটা ওদের নিজেদের ঝামেলা।”

সিরিয়ায় নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্র কিছু শর্ত দিয়ে আংশিক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার প্রস্তাব দিলেও, ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিরিয়ার নতুন সরকারকে ঘিরে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক উদ্যোগ দেখা যায়নি।

তথ্যসূত্র: Newarab

Leave a Reply