ভারতের ব্রিগেড সদরদপ্তরে পাকিস্তানের পাল্টা হামলা

ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেড সদরদপ্তরে পাল্টা হামলা চালানোর দাবি করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, এই হামলায় ভারতীয় সদরদপ্তরটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।

ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতে, যখন ভারত একযোগে একাধিক মিসাইল ছোড়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে। জবাবে ইসলামাবাদও পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানায় এবং প্রতিরোধমূলক হামলা চালানোর দাবি করে পাকিস্তানের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল পিটিভি।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের বরাতে জানা গেছে, লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি)-এর দুদনিয়াল সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি চৌকিতে মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, ভারতের মিসাইল হামলায় মোট পাঁচটি জায়গায় আঘাত হানা হয়েছে। এসব হামলায় অন্তত তিনজন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে কোটলি, পূর্ব আহমেদপুর, বাঘ, মুজাফ্ফরাবাদ ও মুরদিকি। আহমেদপুরে এক শিশুর মৃত্যু এবং ১২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কোটলিতে নিহত হয়েছেন আরও দুই বেসামরিক নাগরিক।

জেনারেল আহমেদ শরীফ দাবি করেন, ভারতের ছোড়া মিসাইল আহমেদপুর ও কোটলির দুটি মসজিদেও আঘাত হেনেছে। তিনি বলেন, “মসজিদের ওপর হামলা প্রমাণ করে এটি আরএসএসের হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শেরই বহিঃপ্রকাশ।”

এছাড়াও, আজাদ কাশ্মিরের রাজধানী মুজাফ্ফরাবাদের একটি সড়কেও মিসাইল আঘাত হানে। তবে সেখানে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, তারা ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালিয়েছে পাকিস্তানে। এই অভিযানে মোট ৯টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। ভারতের দাবি অনুযায়ী, এসব লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসীদের অবকাঠামো, যেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করা হতো।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, এই অভিযানে কেবলমাত্র সন্ত্রাসীদের স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। পাকিস্তানি সেনাদের ওপর কোনো সরাসরি হামলা চালানো হয়নি।

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে শুরু হওয়া এই সামরিক উত্তেজনা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী দ্বন্দ্বের আরও একটি ভয়াবহ দৃষ্টান্ত। দুই দেশই নিজেদের অবস্থান থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও হামলার দাবি করছে। আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি এখন এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দিকে।

তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ

Leave a Reply