ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানে সামরিক অভিযান চালিয়ে ভারতের সেনাবাহিনীকে গুণতে হয়েছে বড় ধাক্কা। এই অভিযানে ভারতের কমপক্ষে ৯৫০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই অভিযানে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও একটি হেরন ড্রোন ধ্বংস হয়ে যায়। পাকিস্তানি বাহিনীর পাল্টা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ভারতের সেনাবাহিনীর ১৫ জন সদস্য। এসব ক্ষয়ক্ষতির কারণে ভারতের প্রতিরক্ষা খাতে বড় আর্থিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতের সাম্প্রতিক বড় বিনিয়োগ ছিল ফরাসি প্রযুক্তির রাফাল যুদ্ধবিমান। প্যারিসের সাথে স্বাক্ষরিত এক চুক্তিতে ভারত ২৬টি রাফাল কেনার পরিকল্পনা করে, যার মোট মূল্য ছিল প্রায় সাড়ে সাতশ মিলিয়ন ডলার। প্রতিটি রাফালের মূল্য ছিল আনুমানিক ২৮৫ মিলিয়ন ডলার। পাকিস্তানে অভিযানের সময় ধ্বংস হয়ে যায় তিনটি রাফাল, যার ফলে একাই ক্ষতি হয় প্রায় ৮৬৪ মিলিয়ন ডলার।
রাশিয়ান প্রযুক্তিতে তৈরি সুখই ৩০ যুদ্ধবিমানের দুইটি ইউনিট ও মিক মডেলের একটি যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের পাল্টা আঘাতে বিধ্বস্ত হয়। সুখই ৩০ এর ভারতে গড় মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৭০.৩ মিলিয়ন ডলার করে এবং মিক বিমানগুলোর মূল্য আনুমানিক ১১ মিলিয়ন ডলার।
অভিযানের সময় ভারতের হেরন ড্রোনও ধ্বংস হয়ে যায়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে মিলিয়ন ডলার। এ ধ্বংস ভারতের নজরদারি ও গোয়েন্দা সক্ষমতার জন্যও বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, তারা পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে অভিযান চালিয়েছে এবং তা সফল হয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলায় বেসামরিক স্থাপনা যেমন মসজিদ ও স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং নিহতদের অধিকাংশই সাধারণ মানুষ।
এই হামলার ফলে ভারতের সামরিক দিক থেকে এক বড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। একদিকে রাফাল, সুখই ও মিক বিমানের ক্ষতি, অন্যদিকে ড্রোন ধ্বংস — সব মিলিয়ে ক্ষতির অংক দাঁড়িয়েছে ৯৫০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
তথ্যসূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ